অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : বাংলাদেশের শহর কিংবা গ্রামে এখন তরিতরকারির মধ্যে পেঁপে ছাড়া কোনোটার কেজিই ৮০ টাকার নিচে নেই। আলু প্রত্যেক সংসারের জন্য প্রয়োজনীয় তরকারি। এ কারণে প্রতিটি পরিবারের জন্য কমবেশি আলু চাই। পেঁয়াজ সহযোগে আলুর ভর্তা অনেকের কাছেই প্রিয়। কিন্তু সেটাও এখন বিলাসিতার পর্যায়ে পৌঁছে যাচ্ছে। বাজারে আলু দাম নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। মনে হচ্ছে লাগামছাড়া। একই অবস্থা পেঁয়াজের।
শুধু আলু ভর্তা নয়, পেঁয়াজ ছাড়া রান্না করা যায়, সে কথা ভাবাই যায় না। ডাল, মাংস, মাছ থেকে শুরু করে প্রতিটি তরিতরকারি রান্নার অন্যতম অনুষঙ্গ পেঁয়াজ। কিন্তু এখন সেই পেঁয়াজের দামও লাগামহীন। ভোগান্তি বাড়ছে সবশ্রেনী পেশার মানুষের।
পেঁয়াজের দামের ঊর্ধ্বগতি যখন সরকারের কানে আসে তখনই সরকার পেঁয়াজ আমদানির ব্যবস্থা নেয়। এমনকি দামও বেঁধে দেয় এক মাস আগে। কিন্তু এখন পেঁয়াজের দামও লাগামছাড়া। সপ্তাহখানেক আগে পেঁয়াজের রফতানি মূল্য বাড়িয়েছে ভারত সরকার। এ খবরে পেঁয়াজের বাজার আবারো অস্থির।
এমন পরিস্থিতিতে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপের অংশ হিসেবে আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে ঢাকার বিভিন্নস্থানে শুরু হচ্ছে ট্রাকসেল কার্যক্রম। প্রতিকেজি আলু ৩০ টাকা ও পেঁয়াজ ৫০ টাকা দরে কিনতে পারবেন সাধারণ ক্রেতারা।
আজ সোমবার সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাজারের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ। তিনি বলেন, আগামীকাল থেকে রাজধানীতে ৩০টি পয়েন্টে ট্রাকসেলে মশুর ডাল, সয়াবিন তেল, আলু ও পেঁয়াজ বিক্রি করা হবে। এসব পয়েন্ট থেকে ফ্যামিলি কার্ডধারী ছাড়া সাধারণ মানুষ ন্যায্যমূলে সর্বোচ্চ ২ কেজি করে ডাল, আলু, পেঁয়াজ ও সয়াবিন তেল কিনতে পারবেন। প্রতিটি ট্রাক থেকে প্রায় ৩০০ জনকে এ পণ্য দেয়া হবে।
প্রায় সবধরনের নিত্যপণ্যের দাম ক্রমাগত বাড়ায় মানুষ বিপাকে। জনসাধারণের দুর্ভোগ কমাতে খোলাবাজারে নিত্যপন্য বিক্রির এ উদ্যোগ কতখানি কার্যকরী ফল আনবে সেই দিকে তাকিয়ে আছে ক্রেতা সাধারণ ।
Leave a Reply